হানিমানের প্রত্যাশা ও অর্গাননের ভূমিকা, অর্গানন পর্ব-২
ডা. কে এম আলাউদ্দীন
হানেমান ছিলেন তৎকালীন সময়ের, প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির একজন উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। একসময় তার অর্জিত চিকিৎসা পদ্ধতি তিনি ছেড়ে দিলে। তিনি রুগ্ন-মানবজাতির রোগমুক্তির আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য গবেষণার পথে অগ্রসর হলেন। আবিষ্কৃত হল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
বিজ্ঞান। তিনি অনেক আশা নিয়ে, সমগ্র চিকিৎসক সমাজের নিকট, তার সমস্ত জ্ঞানের ভান্ডার, অর্গানন, রেখে গেলেন। অর্গাননের পথই হানেমানের কাঙ্খিত পথের একমাত্র আলোকবর্তিকা।
সূচনা
হানেমান তার সময়ের একজন মানবতাবাদী চিকিৎসা বিজ্ঞানী। সেটা ছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বন্ধ্যাত্ব কাল। প্রাচীনকাল থেকেই মানব সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে মানুষের রোগব্যাধির প্রকোপ ও চিকিৎসার আবশ্যকতা প্রায় সমান তালেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন থেকেই অধিকাংশ চিকিৎসকগণ তাদের অনুসৃত চিকিৎসা পদ্ধতি একমাত্র যুক্তিসঙ্গত বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করে থাকতেন। কারণ, তাদের মতে রোগের প্রকৃতি ও কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণে শুধুমাত্র তারাই নিয়োজিত। তাদের দাবি ছিল, "কারণ দূর করো"---আর এটা ছিল তাদের সৌখিন ধারণা।
এখানে হানিমান একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন, তিনি উল্লেখ করেন, "এ যাবত স্বীকৃত সাত্যানুসারে আমরা জানি যে---- কোন বস্তু বা ঘটনার কারণ সে বস্তু বা ঘটনা হতে পারে না। সুতরাং সে কাল্পনিক আভ্যন্তরীণ রোগ-কারণকে চিকিৎসার লক্ষ করে----অপরিজ্ঞাত আরোগ্য ক্ষমতাসম্পন্ন, এমনকি বিভিন্ন অজ্ঞাত ঔষধ মিশ্রণ প্রয়োগের ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসকদের পক্ষে আত্ম প্রতারণার নামান্তর নয় কি?"(অর্গানন, মুখবন্ধ)
আলোচনার উৎস
বর্তমান চাকচিক্যময় চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিভিন্ন পদ্ধতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে অনেকে দাবি করছেন। মনোনিবেশ সহকারে একটু তাকালেই দেখা যায়, দু' বছর পূর্বে যা খুব প্রয়োজনীয় ঔষধ বলে বিবেচনা করা হতো আজ তা' পুরাতন অকেজো বলে প্রমাণিত। তাদের এমন নিত্য নতুন আবিষ্কার চিকিৎসা ব্যবস্থায়, কী অবদান রাখতে পেরেছে? কি তার মূল্য এ প্রশ্নের সমাধান কি? অথচ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ২০০ বছর আগে যেভাবে কার্যকর ছিল আজও একইভাবে কার্যকর। বলতে দ্বিধা নেই একমাত্র হোমিওপ্যাথি ভিন্ন অন্য কোন চিকিৎসায় রোগী আরোগ্যের ক্ষেত্রে তা ফলপ্রদ হবে বলে ভরসা করা যায় না। হানেমানের উদ্দেশ্য ছিল প্রাকৃতিক নিয়মের প্রতি সাধারণ জ্ঞানীগুণী সকল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তাই তিনি রুগ্ন মানবজাতির কল্যাণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে প্রকাশ করলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বা অর্গানন অভ় মেডিসিন নামক মহা মূল্যবান গ্রন্থ। তিনি জানতেন, এ জগতে তার আসল কাজ কি, তাই শুধু নিজেকে মহত্ব করার উদ্দেশ্যেই তার সকল কার্য পরিচালনা করেন নি বরং তার সকল সৃষ্টিকর্ম মানব জাতির কল্যাণে রেখে গিয়েছেন। এবং বলতে পেরেছিলেন, যে কলা শাস্ত্র কেবল তারই অধিকৃত এবং যা গোপন রেখে লাভজনক করা তার-ই ক্ষমতা সাধ্য তাকে, এমনকি তার মৃত্যুর পূর্বে, তিনি তা' সাধারণের উপকারার্থে সকলকের কাছে প্রকাশ করে গিয়েছেন।
হানেমান তাই দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করেন,"এ চিকিৎসা বিধান যে মানুষের উপকার সাধন করছে এ জন্য আমি খুশি। আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরগণ মহান স্রষ্টার কৃপায় এ অবদানের সুফল ভোগ করবেন এবং শারীরিক ও মানসিক রোগের হাত হতে মুক্তি লাভের জন্য এ চিকিৎসার সুফল লাভ করে ধন্য হবেন। সে অনাগত অদূর ভবিষ্যতের দিকে আমি আনন্দের সাথে তাকিয়ে আছি। আমার বিশ্বাস এ সার্থক চিকিৎসাবিধানের সুযোগ মানবজাতি ধন্যবাদের সাথে একদিন গ্রহণ করবেন। হয়তো তখন আমি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব না।" হানেমানের সে প্রত্যাশার ফসল আমরাই আজকের চিকিৎসক সমাজ। তার রেখে যাওয়া বিশ্বাসের ভান্ডার অর্গানন অভ মেডিসিনের আলোকে, একজন বিশুদ্ধ হোমিওপ্যাথিক হিসেবে নিজে প্রতিষ্ঠা করে, হ্যানিম্যানের সে প্রত্যাশা বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে চাই।
হানেমানের প্রত্যাশার ভিত্তিভূমি
হানেমানের প্রত্যাশার ভিত্তিভূমি রচিত হয়েছিল, তার চিন্তা চেতনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার পথে, পথ চলার উর্বর ভূমি থেকে। তার বিষয়গুলো ছিল তার জীবনের পথ পরিক্রমা, তার ধর্মীয় বিশ্বাস, তার গবেষণা লব্ধ জ্ঞান ও উপলব্ধি থেকে। তার গবেষণার ফসল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অর্গানন অফ মেডিসিন গ্ৰন্থের মধ্যে। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান শুধু অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। তাই তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করতে পেরেছেন,"বর্তমান যুগে আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে সুগভীর ভাবে এর সত্যানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হয়েছি এবং আমার বিশ্বাসের ফসলসমূহ লিখিতভাবে কিছু কিছু আমার নামে, কিছু কিছু বেনামে বিশ্ববাসীর সম্মুখে প্রকাশ করেছি। এ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে আমি সত্যের পথ দেখতে পেয়েছি অবশ্য সে পথ পরিক্রমা একাই আমাকে করতে হয়েছে।" প্রশ্ন হল সে বিশ্বাসের ফসল গুলো কি কি? অর্গানন এর দিকে ফিরে তাকালে আমরা হানেমানের কয়েকটি মৌলিক বিশ্বাস, হোমিওপ্যাথির খোলা আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো সুস্পষ্ট দেখতে পাই, সেগুলো হলো:
১। সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। (অ. অ.১২-ট.৮; ১৪; ১৭-ট.১১; ২৫-ট.১৩; ৬০-ট.৬৬; ৭৬; ৭৪-ট.৭৩;২১২) প্রায়-১০টি স্থানে
২। আত্মা, মন। (অ,অ ২৬-ট ১৪; ১১৮-ট ৯৭; ১২০; ২২৯; ২২৪-ট ১২৪) -৭টি স্থানে
৩। জীবনীশক্তি। (অ,অ ৯-১০, ১৬, ৩১-ট ১৬--- প্রায় ৮০টি স্থানে উলেখ রয়েছে )
৪। মায়াজম। (অ,অ-৫, ৫০, ৭২, ৭৬, ২০৪--- প্রায় ২৭টি স্থানে রয়েছে)
এ বিশ্বাস গুলো হানেমানের জীবনকে কখন কিভাবে কতটুকু নাড়া দিয়েছিল তা অর্গাননের অধ্যায়সমূহ আলোচনায়, যথাস্থানে উল্লেখ করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আলোচ্য বিষয় থেকে যা জানা যাবে
১। ক্ষতিকর পদ্ধতি পরিত্যাগ ও সত্যের পথ অবলম্বনের উপায়।
২। প্রকৃত আরোগ্যকলা (হোমিওপ্যাথি) প্রতিষ্ঠা লাভের উপায়।
৩। সদৃশ বিধানই সত্য আরোগ্য শিল্প।
৪। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জীবনীশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
৫। চিকিৎসায় ভাওতাবাজির সম্পূর্ণ বিপরীত হলো হোমিওপ্যাথি।
৬। ৬ষ্ঠ সংস্করণ অধিকতর সম্পূর্ণতা লাভ করেছে।
অর্গাননের পটভূমি
অর্গানন অফ মেডিসিন এর ভূমিকা সমূহ আলোচনার পূর্বে আমি অর্গাননের পটভূমি নিয়ে সামান্য কয়েকটি কথা উল্লেখ করতে চাই। আমরা সকলেই জানি, গ্যালেনের মেটেরিয়া মেডিকা অনুবাদ করতে গিয়ে, সিঙ্কোনা বার্ক সম্পর্কে তিনি একমত হতে পারেননি, সেখানে তিনি বিরূপ মন্তব্য করেন। এক সময় তিনি তা নিজে সেবন করে তার চিন্তাধারার মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করেন এবং স্বেচ্ছায় চার ড্রাম করে সিঙ্কোনার রস সেবন করেন। ঘটনার সূত্রপাত ১৭৯০ সালে। এরপরই হানেমানের চিন্তা-চেতনায় এক ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তিনি তৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে ভিন্ন এক উপলব্ধির অজ্ঞাত স্পর্শে তার গবেষণার পথ অতিক্রম করতে থাকেন। নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ চলা তাকে, তার উদ্যমকে আরো বেগবান করে তুললো। সিনকোনা বার্কের ঘটনা যেন এক নেশা, নতুন স্বপ্নের নেশা, রুগ্ন মানুষের কল্যাণের নেশা, রুগ্ন মানব জাতিকে রোগ থেকে মুক্ত করার নেশা। দীর্ঘ ৬ বছর, নিরলস ভাবে পথচলার মাঝে, এক সময় তিনি প্রকাশ করলেন, "ঔষদের আরোগ্যকর ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে জানার নতুন নীতি এবং পূর্বের নীতিসমূহের পরীক্ষার শীর্ষক নিবন্ধ।(Essay on a New Principle for ascertaining the curative powers of
drugs and some examinations of the previous principles.)-১৭৯৬। এখানে অনেকে মনে করেন প্রকৃতভাবে হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারের সাল হবে ১৭৯৬। তবে একথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, চায়না বা সিঙ্কোনা বার্ক সেবনের পড়ই, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধাপগুলো অতিক্রম করে সদৃশ বিধানের সুস্পষ্ট নীতিমালা পেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ থেকেও সদৃশবিধান এর জন্ম সাল ১৭৯০ বলে মেনে নিলে অনেক প্রশ্ন থেকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। এবং হানিমানের জীবনের বৈপ্লবিক এ সময়টা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্মৃতির পাতায় চিরজাগ্রত থেকে, আমাদের চিন্তাকে আলোড়িত করতে থাকবে।
এর পরের বছরই তিনি লিখলেন, সদৃশ আরোগ্য নীতি পুনঃপ্রবর্তন সম্পর্কিত নিবন্ধ-১৭৯৭। ১৮০৫ সালে, ausclupius in the
balance; ১৮০৫ সালেই প্রকাশিত হয় ফ্রাগমেন্টা ডি ভিরিবাস যেখানে সাতাশটি ঔষধের বিষয় উল্লেখ করা হয় (Fragmenta De viribus
medicamentorum positivis Sive Sango corpore Humano observatis); ১৮০৬ সালে অভিজ্ঞতা ভিত্তিক চিকিৎসা (Corpore Humano Observatis); এবং ১৮০৭সালে, সাধারণ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঔষধের হোমিওপ্যাথিক ব্যবহারের নির্দেশকসমূহ, পরে যা সংশোধিত আকারে অর্গাননের মুখবন্ধ হিসেবে সংযুক্ত করেন। পরবর্তীতে তিনি এ ধরনের অনেক প্রবন্ধ লিখতে থাকেন।
অবশেষে মহা মূল্যবান গ্রন্থ অর্গানন অফ মেডিসিন, প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮১০সালে। এখানে হানেমানের অর্গানন অব মেডিসিন এর সংস্করণসমূহের প্রকাশকাল উল্লেখ করা হলো:
১। ১ম সংষ্করণ, ১৮১০/ সূত্র-২৫৯
২। ২য় সংষ্করণ, ১৮১৯/ সূত্র-৩১৮
৩। ৩য় সংষ্করণ, ১৮২৪/ সূত্র-৩১৮
৪। ৪র্থ সংষ্করণ, ১৮২৯/ সূত্র-২৯২
৫। ৫ম সংষ্করণ, ১৮৩৩/ সূত্র-২৯৪
৬। ৬ষ্ঠ সংষ্করণ, ১৮৪২/১৯২১,৩ মার্চ/ সূত্র-২৯১।
এখানে আমরা ধারণা করতে পারি হানেমানের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা জীবন হলো ৫৩ বছর (১৮৪৩-১৭৯০)।
দেখা যায়, অর্গানন অব মেডিসিন এর ষষ্ঠ সংস্করণে, বিষয়বস্তুসমূহ কে চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা:
i. প্রথমে মুখবন্ধ (Preface)
ii. তারপর সূচিপত্র (Index)
iii. উপক্রমণিকা (Introduction)
iv. সবশেষে অনুচ্ছেদ (Aphorism)
১। ক্ষতিকর পদ্ধতি পরিত্যাগ ও সত্যের পথ অবলম্বনের উপায়।
হানেমান তার সময়ে প্রচলিত সকল চিকিৎসা পদ্ধতিকে ক্ষতিকর চিকিৎসা পদ্ধতি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর সময়ের পূর্বেকার চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করে জানতে পারলেন সফল চিকিৎসা পদ্ধতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
ক। বিসদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতি
খ। সদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতি
তার মতে, ঝাড়ফুঁক, অলৌকিক এবং অযৌক্তিক কোন চিকিৎসা পদ্ধতি থাকতে পারে না। অভিজ্ঞতায় যা গ্রহণযোগ্য নয় তাকে তিনি কোনো প্রকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি বলে মনে করেন না। সার্জারি হল চিকিৎসার উপাদান বা আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনা। একটা বিশেষ ক্ষেত্রে, অবশ্যই সার্জারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে কিন্তু তা প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইরের বিষয়।
একমাত্র সদৃশ চিকিৎসা বিজ্ঞানকেই হানেমান প্রকৃত চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে উল্লেখ করেছেন। ভিন্ন পদ্ধতির সকল ক্ষতিকর অবস্থার বিরোধিতা করে তিনি একাই সত্যের পথে এগিয়ে চলেছেন। এ পথ পরিক্রমায় তিনি একাই চলেছেন এবং একাই নির্ভুল সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছেন। যিনি চলার পথে, আলস্য প্রিয়তা, আরামপ্রিয়তা বা একগুয়েমীমনোভাব পরিত্যাগ করে সত্যের পথে এগিয়ে চলেছেন; তিনি বলেন এসব পরিত্যাগ করেই সত্যের পথে অগ্রসর হওয়া যায়। তার মতে সঠিক ও পবিত্র যুক্তি গুলো অনুধাবন করেই এ পথে চলতে হয়, সত্যের পথে চলতে হয়। যারা এ পথের পথিক অবশ্যই তাদেরকে হতে হবে কুসংস্কার মুক্ত মনের অধিকারী, হতে হবে অক্লান্ত পরিশ্রমী, আর তা’দেরকে হতে হবে মানব সেবায় উৎসর্গিত প্রাণের অধিকারী।
২। প্রকৃত আরোগ্যকলা (হোমিওপ্যাথি) প্রতিষ্ঠা লাভের উপায়।
হানেমান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা জীবনের ২০ বছর পর প্রকাশ করলেন অর্গানন প্রথম সংস্করণ, তার ৯ বছর পর প্রকাশ করলেন দ্বিতীয় সংস্করণ। তিনি, জীবন চলার পথে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করলেন, সত্য নির্ণয়ের জন্য একান্ত প্রয়োজন, ১। ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য উপলব্ধি, ২। তথ্য এবং ৩। অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, একমাত্র সংস্কারমুক্ত চিন্তা থেকেই পাওয়া যাবে পূর্ণাঙ্গ আরোগ্য কলা তাহলেই আমরা হোমিওপ্যাথির সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারবো। এখানে তিনি তিনটি বিষয়ের যথার্থ জ্ঞান অর্জনের কথা উল্লেখ করেছেন।
১। রোগ বিষয়ক জ্ঞান (নিদান গত নয়)।
২। ঔষধ এর যথার্থ কার্যকারিতার জ্ঞান (অনুমানমূলক নয়)।
৩। ঔষধ প্রয়োগ ও উপযুক্ত মাত্রা বিষয়ক জ্ঞান (উপশম দায়ক নয়)।
প্রশ্ন হল রোগ কোথায়, রোগ কি দেহের অভ্যন্তরে কোথাও লুকিয়ে থাকে যা খুঁজে-খুড়ে, কেটে ছিঁড়ে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করে বের করতে হবে? রোগের কোন নিদানগত অবস্থান নেই, রোগ এক অদৃশ্য শক্তি। একমাত্র জীবনীশক্তি বিশৃংখল হলেই রোগ দেহ-মনে ছড়িয়ে পড়ে।
সে বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে দেহ ও মনকে মুক্ত করতে হলে যথার্থ ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। রোগ অদৃশ্য শক্তি হলে, ঔষধকেও অদৃশ্য শক্তিশালীই হতে হবে। অনুমান মূলক কোন ঔষধ বা অন্য কোন প্রাণীর উপরে প্রয়োগ করে তার অভিজ্ঞতাজাত ঔষধ রোগের জন্য যথার্থ ঔষধ হতে পারে না। ঔষধ হতে হবে মানব শরীরে যথাযথভাবে প্রুভিংকৃত এবং শক্তিকৃত। এর জন্য অবশ্যই অর্জন করতে হবে ঔষধ ও মাত্রা বিষয়ক সঠিক জ্ঞান ও পদ্ধতি। শুধুমাত্র রোগের উপশম দায়ক কোন বস্তুকে ঔষধ বলে বিবেচনা করা, কখনোই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না।
৩। সদৃশ বিধানই সত্য আরোগ্য-শিল্প
দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের পর প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। দিকে দিকে হানেমানের আবিষ্কৃত সদৃশবিধান সাদরে গৃহীত হল, এ সময়টায় এমন অবস্থা লক্ষ করা গেল যে, কেউ ইচ্ছা করলেই সদৃশবিধান কে অবজ্ঞা করতে পারবে না। অজ্ঞাতসারেই হানিমানের অন্তরাত্মা আনন্দে উদ্বেলিত। ভবিষ্যৎ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কাছে তাই তার প্রত্যাশা, এ চিকিৎসা ব্যবস্থা বা চিকিৎসা বিধান নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অবশ্যই টিকে থাকবে। আমরা যারা যথার্থ হোমিওপ্যাথ, তারাই তার প্রত্যাশিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিকিৎসক। আমরা সঠিক পথে, যথার্থ নিয়মে অর্গানন মেনে চিকিৎসা জীবন পরিচালিত করতে পারলেই হানেমানের আশা পূরণ হবে আমাদের বিশ্বাস। নিশ্চয়ই আমরা সে পথের আলোকরেখা ধরে অগ্রসর হয়ে, হ্যানিম্যানের সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ। হানেমানের উপলব্ধির সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই সদৃশবিধানই একমাত্র আরোগ্য-শিল্প।
৪। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জীবনীশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য
চতুর্থ সংস্করণ এর ভূমিকায় হ্যানিম্যান উল্লেখ করেন যে,"প্রচলিত পদ্ধতির চিকিৎসক সমাজ রোগে প্রকৃতির আত্ম সাহায্যকে অতুলনীয় আরোগ্য কলা বলে বিশ্বাস করেন এবং এর অবিকল অনুকরণ চিকিৎসকের সর্বোচ্চ লক্ষ বলে মনে করেন।" অথচ তৎকালীন চিকিৎসক সমাজ বিভিন্ন ঔষধের দ্বারা কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি করে রোগে প্রকৃতির সে অনুমেয় অত্ম-সাহায্যমূলক তুলনা বিহীন এ সব ক্রিয়া-কলাপকে বিশৃঙ্খলিত বা ক্ষতিকরভাবে বৃদ্ধি করে থাকে। এখানে আমরা জানি যে প্রকৃতির মধ্যে রোগের আত্ম-সাহায্যের ইঙ্গিত রয়েছে, আর আত্ম সাহায্য বিশ্লেষণ করলেই উদ্ঘাটিত হবে জীবনীশক্তির আসল রহস্য। হানেমান জীবনীশক্তির স্বরূপ আলোচনা প্রসঙ্গে তিনটি কথা উল্লেখ করেন,তথা:
১। স্বত-প্রেরণাময়
২। যুক্তিতর্ক বিচারহীন
৩। জৈব ধর্মের অধীন
এবং জীবনীশক্তির কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন,
*সুস্থ অবস্থায়ঃ অনুভূতিগুলোকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করা কিন্তু
*রুগ্ন অবস্থায়ঃ রুগ্ন বা নষ্ট স্বাস্থ্যকে যথার্থভাবে পুনরুদ্ধারের সামর্থ্য এর থাকেনা।
তাই হ্যানিম্যান দৃঢ়তার সাথে প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন,"রোগ ক্ষেত্রে আত্মরক্ষায় স্বয়ং প্রবৃত্ত, প্রেরণাদায়ক যুক্তিহীন জীবনীশক্তি (প্রকৃতি নামে অযথা কথিত) অনুপোযোগী, অকেজো, প্রায়ই ক্ষতিকর প্রচেষ্টা ও কার্যাদির(অসঙ্গত) অনুকরণকেই যুগ যুগ ধরে আরোগ্যকলা নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং আমার পূর্বে প্রকৃত আরোগ্যকলা আবিষ্কৃত হয় নাই-এ সত্য স্বীকার করতে হবে। যুগযুগান্তরব্যাপী বৃথাই এর অনুসন্ধান করা হলেও হোমিওপ্যাথি(সদৃশবিধান)ই হচ্ছে এই আরোগ্যকলা।"
কাজেই এখানে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে জীবনীশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
৫। চিকিৎসার ভাঁওতাবাজির সম্পূর্ণ বিপরীত হলো হোমিওপ্যাথি
এখানে ব্যাপক আলোচনায় না গিয়ে পঞ্চম সংস্করণ এর ভূমিকায় উল্লেখিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, উল্লেখ করে এ আলোচনা শেষ করতে চাই। হানিমান তার দীর্ঘ ভূমিকায় আমাদের সামনে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন তা' হলোঃ
১। অশরীরী জীবনীশক্তি বিকৃতিই রোগ (রোগ বিষয়ক)
২। সুনির্বাচিত ঔষধ (ঔষধ বিষয়ক)
৩। যে সকল ঔষধ স্বাস্থ্য পরিবর্তন ও বিকৃত করার শক্তি রাখে (প্রভিংকৃত ঔষধ)
৪। একটিমাত্র ঔষধ প্রয়োগ।
৫। অতুৎকৃষ্টভাবে ও সূক্ষ্ম মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিপথগামী চিকিৎসক ও চিকিৎসার কারণ হলোঃ
১। নীতি সম্বন্ধে অজ্ঞতা।
২। আলস্যতা।
৩। রুগ্ন মানুষের প্রতি অবজ্ঞা।
৪। হাস্যকর দাম্ভিকতা।
আর তাদের চিকিৎসার ব্যর্থতার কারণ হলোঃ
১। ঔষধ নির্বাচনে অমার্জনীয় অবহেলা প্রদর্শন
২। লাভের জন্য লালসা।
অত্র ভূমিকার আলোচনা থেকে আমরা যে বিষয়টি জানতে পারি তা হল, জীবনীশক্তির বিকৃতি এক অশরীরী শক্তি যা গতিশীল; আর সুনির্বাচিত ঔষধ শক্তি যা মানুষের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে তা'ও গতিশীল। এখানে জীবনীশক্তির বিকৃতি গতিশীল সুনির্বাচিত আরোগ্যকরশক্তিও গতিশীল, এটাই সদৃশবিধান। এ বিধানের মূল রহস্য আমরা খুঁজে পাবো, ১। প্রভিংকৃত ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে ২। সুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে ৩। এবং সূক্ষ্মমাত্রায় একটিমাত্র ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে।
৬। ৬ষ্ঠ সংস্করণ অধিকতর সম্পূর্ণ তা লাভ করেছে
পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকার সাথে ষষ্ঠ সংস্করণে যা নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে তা হলোঃ
১। তা'ই আমার আবিষ্কৃত প্রকৃত আরোগ্য কলা true healing art.
২। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে তা অধিকতর সম্পূর্ণ তা লাভ করেছে।
৩। অন্যান্য ঔষধে যে আরোগ্য ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তা-ও সদৃশ ঔষধের সাহায্যেই সংঘটিত হয়েছে।
ষষ্ঠ সংস্করণ সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্য
১। বোনিং হোসেনকে লেখা হ্যানিম্যানের বক্তব্য থেকে জানা যায়,"আমি এখন ষষ্ঠ সংস্করণের কাজে ব্যস্ত রয়েছি"।
২। হানেমান ১৮৪২ সালের ২০ শে ফেব্রুয়ারি পুস্তক প্রকাশক স্কপ সাহেবকে লেখেন, "সুদীর্ঘ ১৮ মাস কাজ করার পর আমি অর্গানন ৬ষ্ঠ সংস্করণ সমাপ্ত করেছি। আগেকার সব গুলোর তুলনায় এটা অনেকটা পূর্ণাঙ্গ (the most nearly perfect of all)।
বিশেষ পরিবর্তনসমূহ
১। ১১ নং সূত্রের পাদটীকায় জীবনীশক্তি কে vital force ছাড়াও dynamic influence, dynamis, life principle বলে উল্লেখ করেছেন।
২। ৫২-৫৬ নতুন, ৬০-৭৪ পাদটীকা সংযুক্ত ১৪৮ নতুন-তিনি এখানে, রোগের মূল কারণ হিসেবে স্থূল বস্তু অস্বীকার করেন।
৩। ২৪৬-২৪৮ নং অধ্যায়ে, চির রোগ চিকিৎসায় পুনঃপ্রয়োগ করার উপদেশ দেন। প্রসঙ্গত তিনি ঔষধ প্রয়োগ ও তৈরীর নতুন নিয়ম গুলো উল্লেখ করেন।
৪। ২৬৯-২৭০ অধ্যায়ে ঔষধ প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
৫। ২৭৩ অধ্যায় দুটি ঔষধ একসাথে প্রয়োগ করা যাবে না বলে উল্লেখ করেন।
৬। ২৮২ নং পাদটীকা নতুন। মায়াজমিক রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বৃহৎ মাত্রা, আঁচিলে বাহ্য প্রয়োগ করার কথা উল্লেখ করেন। ৭টি অধ্যায় নতুনভাবে সংযোজিত এবং ৭৫টি অধ্যায় সংশোধন করা হয়।
৭। কতিপয় নতুন শব্দ উল্লেখ করেছেন যা আমাদেরকে নতুন ভাবে ভাবতে সাহায্য করে শব্দগুলো হলো, Crapo & Preserver of this Creatures. Greatest gift of god.
Wise & benevolent creator and persever of mankind. Provident. Benevolent
deity. All wise preserver. God, the preserver of mankind. Lord of life. God
knows ইত্যাদি
*১২৮ নং অনুচ্ছেদে ঔষধ পরীক্ষার ব্যাপারে যে ৩০ শক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, মনে হয় তা শততমিক ঔষধের ৩০শক্তি।
৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির কয়েকটি বিশেষত্ব তুলে ধরা হলো
১। ঔষধের প্রতিক্রিয়া মৃদুতম হওয়ার কারণে কোন প্রকার ঔষধজ বৃদ্ধির ভয় থাকে না। ( ঐ পাদটিকা ১৫৫-১৫৬ )
২। প্রয়োজনে এ ঔষধ দিনের পর দিন মাসের পর মাস প্রয়োগ করা চলে। (অর্গানন ২৪৮)
৩। দীর্ঘক্রিয় ঔষধ পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করা যায়। ( অর্গানন ২৪৮, পাদটীকা ১৫৫)
৩। ভুল নির্বাচিত ঔষধে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। (অর্গানন ১৬৬, ২৪৯ পাদটীকাসহ)
৫। এক্ষেত্রে অর্ধেক, শিখি বা তার চাইতে কম সময়ে রোগী আরোগ্য লাভ করে থাকে। (অর্গানন ২৪৬)
৬। নিম্ন শক্তি হতে শুরু করে প্রয়োজন হলে ক্রমান্বয়ে উচ্চ হতে উচ্চতর শক্তিতে প্রয়োগ করতে হয়।
(অর্গান ২৪৮, পাদটীকা ১৩২)
৭। ইচ্ছে মত শক্তি বৃদ্ধি করে রোগীকে প্রয়োগ করা যায়।
৮। ঔষধ গ্লোবিউলসে থাকে বলে ঔষধ নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকেনা।
৯। ঔষধকে প্রয়োজন মোতাবেক ডাইলিউট করা যায় বলে প্রতিক্রিয়া শক্তি মৃদু হয় এবং ঔষধজ কোন রোগ বৃদ্ধি ঘটে না বা ঘটলেও তা দ্রুত নিরসন হয়।
১০। এ পদ্ধতিতে ঔষধের সমতা থাকে এবং নিম্ন শক্তি থেকে ক্রমান্বয়ে উচ্চ শক্তি প্রয়োগ করলে রোগীর ভেতর অসহনশীল কোন কিছু সৃষ্টি হয় না।
অর্গানন ষষ্ঠ সংস্করণই মূলত অর্গাননকে পরিপূর্ণতার খুব কাছাকাছি এনে দিয়েছে।
উপক্রমণিকা প্রসঙ্গে
দীর্ঘ উপক্রমণিকায় হ্যানিম্যান বিশদভাবে হোমিওপ্যাথির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছেন। সে আলোচনা সারসংক্ষেপ হিসাবে এখানে আমরা কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। তিনি বলেন রোগ হলো সূক্ষ্ম ও অশরীরী প্রকৃতির এবং এর মূল কারণ গতিশীল যা কেবলমাত্র গতিশীল উপায় দূরীভূত করা যায় তিনি আরও উল্লেখ করেনঃ
১। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিষয় হলো কারণ অপসারণ।
২। চাপা দেয়া চিকিৎসায় রোগ সারে না বরং পুনরায় আবির্ভূত হয়।
৩। জীবনীশক্তিই রোগ বা আরগ্যের নিয়ামক শক্তি।
৪। রোগের কারণ উপাদানগত হতে পারেনা। রোগের মূল কারণ হলো, রোগ-বিষ (মায়াজম), সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস।
৫। সদৃশ বিধানেই রোগী আরোগ্যের একমাত্র পদ্ধতি।
আলোচ্য বিষয় থেকে যা জানা গেল
১। ক্ষতিকর পদ্ধতি পরিত্যাগ ও সত্যের পথ অবলম্বনের উপায়স্মূহ।
২। প্রকৃত আরোগ্যকলা (হোমিওপ্যাথি) প্রতিষ্ঠা লাভের উপায় কি কি।
৩। সদৃশ বিধানই সত্য আরোগ্য শিল্প।
৪। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জীবনীশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
৫। চিকিৎসায় ভাঁওতাবাজির সম্পূর্ণ বিপরীত হলো হোমিওপ্যাথি।
৬। ৬ষ্ঠ সংস্করণ অধিকতর সম্পূর্ণতা লাভ করেছে।
সমাপ্ত
বাংলাদেশ
হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত
অন-লাইন উচ্চতর প্রশিক্ষণ ক্লাসে আলোচনার সারসংক্ষেপ, অর্গাননঃ পর্ব-২
(লেখক পরিচিতিঃ ডাঃ কে এম
আলাউদ্দীন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ। চেম্বারঃ ফকির বাড়ী রোড (এন্তাজ মঞ্জিল), বরিশাল। মোবাইল নংঃ ০১৭১১-১০ ৮৩ ২৫.
WWW.dkmaluddin@gmail.com
No comments:
Post a Comment