বর্তমান হোমিওপ্যাথি ও আমাদের করণীয়
(Present homeopathy and our doings)
-ডা: কে এম আলাউদ্দীন
“আমার বিশ্বাস এই সার্থক চিকিৎসা বিধানের সুযোগ মানব জাতি ধন্যবাদের সাথে একদিন গ্রহণ করবেন হয়তো তখন আমি এই পৃথিবীতে থাকবো না”।
অর্গানন ৩য় সংস্করণের ভুমিকা
“সুস্থ শরীরযন্ত্রকে মানব জীবনের মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত করতে পারে”(অর্গানন, অনুচ্ছেদ-৯)।
(ক) বর্তমান হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা:
প্রাথমিক ধারণাঃ
ক। শিক্ষক নির্ধারণঃ
-আমার পূর্বে কেউ-ই এটা অনুধাবন করতে সমর্থ হন নাই-(অ,অ-৬২)
-“অমার পূর্বে প্রকৃত আরোগ্য কলা আবিষকৃত হয়নি”-ভুমিকা, ৪র্থ সংস্করণ
-“আমিই সর্ব প্রথম এ পথ উম্মুক্ত করেছি” (অ,অ-১০৯)
খ। সঠিক পথঃ “হোমিওপ্যাথিক আরোগ্য কলাই একমাত্র নির্ভুল পদ্ধতি, মানুষের কলাকৌশল-সাধ্য, আরোগ্য লাভের সরলতম পথ, দু’টি নির্দিষ্ট বিন্দুর মধ্যে একটি মাত্র সরল রেখার ন্যায় ধ্রুব” (অ,অ-৫৩)।
মৌলিক বিষয়ঃ
১। বিশ্বাস সম্পর্কিত মৌলিক বিষয়,
ক। সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ (অর্গানন, অনুচ্ছেদ ১২-টিকা ৮; ১৪; ১৭-টি ১১; ২৫-টিকা ১৩; ৬০-টি৬৬; ৭৬; ৭৪-ট৭৩;২১২)
খ। মায়াজম (অ, অ ৫, ৫০, ৭২, ৭৬, ২০৪--- প্রায় ২৭টি স্থানে উল্লেখ রয়েছে)
গ। জীবনী শক্তি (অ,অ ৯-১০, ১৬, ৩১-ট ১৬--- প্রায় ৮০টি স্থানে বিভিন্ন নামে এ বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে )
ঘ। আত্মা, মন (অ,অ ২৬-ট ১৪; ১১৮-ট ৯৭; ১২০; ২২৯; ২২৪-ট ১২৪)
২।চিকিৎসা সম্পর্কিত
বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ
এভাবে স্বরণ রাখা যেতে পারেঃ TR
T- 1.Treat
the Patient (রোগীর চিকিৎসা) ১
2.To
restore the sick to health
3.Totality
of symptom (লক্ষণ সমস্টি)৮,
=Individualization
(স্বাতন্ত্রীকরণ) ৬-৮,৮৩-১০৪
R- 4.
Remadies, Similar (সদৃশ ওষুধ) ২৬-২৯, ৫০,
৫৩, ১০৯, ১৫৩-১৬৫।
5. Remadies, Proving, (পরীক্ষণ) ১০৫-১৪২, ট-১৬৫
6. Remadies,
Potentization, ( শক্তিকরণ) ২৫, ২৪৬, ২৬৯-২৭০
7. Remadies, Mono(single) medicine (একক ওষুধ)
২৪, ১৬৯-১৭০,২৭৩, ২৭৪, ২৭৮
8. Remadies, Minimum Dose (সূক্ষ মাত্রা) ২৪৬-২৫৬, ২৬৪,
২৭০, ২৭২, ২৭৫-২৮৩, ২৮৫।
প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার জটিলতা সমুহ ও জটিলতা মুক্ত অবস্থাঃ
প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার জটিলতা সমুহ
ক* নিয়ম ও অনিয়মের মিশ্রণ (মিশ্রপ্যাথি)
খ* গবেষণার নামে অনিয়ম।
ক। নিয়ম ও অনিয়মের মিশ্রণ (মিশ্রপ্যাথি)
১। শততমিক, রায়োক্যামি ও মাদার টিংচার
২। সহস্রতমিক, বায়োক্যামি ও শততমিক
৩। সহস্রতমিক ও বায়োক্যামি
৪। শততমিক/ সহস্রতমিক, শুধু মানসিক লক্ষণ ভিত্তিক (ক্লাসিক হোমিও নামের আড়ালে হানেমানীয় হোমিওপ্যাথি সমূলে ধ্বংসের নতুন পায়তারা) ইত্যাদি।
খ।
গবেষণার নামে অনিয়ম-
জটিলতা
মুক্ত অবস্থাঃ
*** জটিলতা থেকে উত্তরণের উপায় সমূহ।
প্রথম স্তরঃ জ্ঞানগত প্রস্তুতির জন্য আমাদের প্রয়োজন,
১।অর্গানন ও ক্রনিক ডিজিস (অর্গানন-৭৮-৮২) ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন
ক। অর্গাননঃ *প্রকৃত চিকিৎসকে কাজ (১-৮)** গতিময় (৯-২৩)-
*** সদৃশ বিধান (২৪-৭০)জানা ও ****রোগীর আরোগ্য সাধন (৭১-২৯১) করা।
খ। ক্রনিক ডিজিসঃ মায়াজম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।
দ্বিতীয় স্তরঃ বিশ্বাস
১। জীবনীশক্তি দ্বারাই জীবনের সমস্ত অনুভূতি ও কার্যকলাপ সম্পন্ন হয়ে থাকে। ৯-১০
২। লক্ষণ সমষ্টিই আভ্যন্তরীণ মূল ব্যাধির বাহ্যিক বিকাশ অর্থাৎ জীবনীশক্তিকে প্রভাবিত করে। ৭
৩। সদৃশ বিধানই একমাত্র আরোগ্য কলা, যা মানব জাতির জন্য অমোঘ আশীর্বাদ স্বরূপ । ৫৩, ১০৯
৪। লক্ষণ সমষ্টির অপসারণই আরোগ্য। ৮
তৃতীয় স্তরঃ উপলব্ধি
১। সঠিক পথে অভিজ্ঞতা অর্জন। ৫৩
২। প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিধানের মর্মবাণী উপলব্ধি। (২৬)
৩। রোগী চিত্র, মহান আল্লাহর করুণা। (অ,প ১৪; ট ১৭খ) * বস্তুবাদী নন-১৩
চতুর্থ স্তরঃ কর্ম পদ্ধতি
(কাজ)
১। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সঠিক মান নির্ধারণ।
২। অর্গাননের গবেষনা, প্রশিক্ষণ, প্রচার ও প্রসারের পরিকল্পনা গ্রহণ।
আমাদের করনীয় কি হতে পারেঃ
১ম ধাপঃ
ব্যক্তিগত কাজ
প্রথম স্তরঃ শুদ্ধ হোমিওপ্যাথ হওয়া
১। নিজেকে প্রকৃত চিকিৎসক হিসেবে গঠন করা। (১-৮)
২। বিচক্ষণতার সাথে রোগী চিত্র অংকন। (৬-৮; ৮৩-১০৪)
৩। নিজস্ব পদ্ধতিতে মেটেরিয়া মেডিকা পাঠ পরিকল্পনা।
৪। ঔষধের ছবি আত্মস্থ করে, অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ঔষধ চিত্র সমৃদ্ধ করণ।
দ্বিতীয় স্তরঃ
ঔষধ প্রয়োগ ২৪৫-২৫১
ক। ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে ঔষধ প্রয়োগ ও আরোগ্যকৃত রোগী বিবরণী প্রকাশের ব্যবস্থা করা।
খ। ঔষধের প্রস্তুত প্রণালী, (চিকিৎসক ঔষধ নিজেই তৈরী করবেন ২৭১)
গ। সূক্ষ মাত্রায় প্রয়োগ ২৭২,২৭৫-২৮৩
(একটি অনুবটিকাই একটি ক্ষুদ্র মাত্রা ২৭২)
ঘ। রোগীর জীবনী শক্তির সাথে মাত্রার সম্পর্ক অনুযায়ী প্রয়োগ। ২৭৫-২৮২
ঙ। ঔষধ যথাসময়ে বন্ধ রাখা। ২৮১
তৃতীয় স্তরঃ
আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণঃ
*রোগ বিষয়ক রিপোর্ট বিশ্লেষণ।
* রেপার্টোরী করণঃ
১। সাধারন পদ্ধতি।
২। আধুনিক প্রযুক্তি ভিত্তিক (কম্পিউটার, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে)।
২য় ধাপঃ সামাজিক ব্যবস্থা গ্রহণঃ
১। সাধ্যানুযায়ী
৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির প্রশিক্ষণ, প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করা।
২। হানেমানের চিন্তা ও চেতনার আলোকে শুদ্ধ হোমিওপ্যাথির একটি
শক্তিশালী সংগঠনের ছায়ায় ঐক্যবদ্ধ করা।
৩। রোগী ও চিকিৎসবৃন্দকে সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
৪। ঔষধ প্রয়োগসহ সকল আনুসঙ্গিক বিষয়ে চিকিৎসকবৃন্দের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির অব্যাহত প্রচেষ্টা।
৫। ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে দ্রুত রোগী
অরোগ্যের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা।
৬। সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থায় অর্গাননের নিয়ম নীতির বাস্তবায়ন।
:সমাপ্ত:
No comments:
Post a Comment